নৌবন্দরে আটকে গেল অপ্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল

ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি - ০
ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবল টিম - ০
সব্যসাচী ঘোষ : ইমামির সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামল ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি। এবং প্রথম ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির মত দলের মুখোমুখি হলেও, সন্তোষজনক ফুটবল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল।
একেবারে নতুন ভাবে তৈরি হওয়া এই ইস্টবেঙ্গল দলটি এই মুহুর্তে ব্যক্তিগত গুণের উপর নির্ভর করছে। ভিপি সুহের থেকে শুরু করে সুমিত পাসি, কিছুটা সময় অ্যালেক্স লিমা - নিজেদের ব্যক্তিগত ঝলক দেখিয়েছেন। তবে দলগত সংহতির অভাবটা কিন্তু রয়েছে এই ইস্টবেঙ্গল দলের। তবে আগামী দিনগুলিতে ধীরে ধীরে এই সংঘবদ্ধতা তৈরি হবে, তা আশা করা যায়।
প্রথম দিকে ইস্টবেঙ্গল খেলা পরিচালনা করলেও ধীরে ধীরে নৌসেনার দল খেলা ধরে নেয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি অনেকটাই আক্রমণ তৈরি করেছিল। লিমা, মহিতোষ রায় ও সৌভিক চক্রবর্তীর আগমণের জেরে খেলাটা অনেকটা আক্রমণাত্মক হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
কিন্তু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন সুহের, পাসিরা। যদিও নেভি বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠছিল, কিন্তু লালচুংনুংগা ও অঙ্কিত মুখার্জির ডিফেন্স সামলে নেয়।
প্রথমার্ধে নাওরেমের চোট পাওয়ায় পরিবর্ত হিসেবে নামেন বাঙালি ডিফেন্ডার তুহিন দাস, এবং প্রথম ম্যাচে দারুণ নজর কেড়েছেন। যেভাবে আক্রমণ ও রক্ষণ উভয় জায়গাতেই সচল থেকেছেন, তা সত্যিই ভালো। তবে প্রথম ম্যাচ হওয়ায় সামান্য নড়বড়ে লেগেছিল। বেশ নার্ভাস ছিলেন আর এক বাঙালি মিডফিল্ডার মহিতোষও।
সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে স্টিফেন কনস্টানটাইনের ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি কিন্তু পাস মার্ক নিয়ে উতরে গেল, তা বলাই যায়।