ঐতিহ্যশালী সুব্রত কাপে আয়োজন নিয়ে বাংলার উদাসীনতা পড়ল ধরা, জানুন বিস্তারিত…

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ৬২ বছরের পুরোনো টুর্নামেন্ট এই সুব্রত কাপ। ভারতীয় বায়ুসেনা দ্বারা আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ভারতবর্ষ ও এশিয়ার বিভিন্ন স্কুল অংশগ্রহণ করে। এবং বিভিন্ন সময়ে এই টুর্নামেন্ট থেকে ভবিষ্যতের একাধিক তারকার অন্বেষণ ঘটেছে।
গত দুই বছর করোনার জেরে আয়োজিত না হলেও এই বছর আবারও আয়োজিত হবে সুব্রত কাপ। অথচ এবারের টুর্নামেন্টে বাংলার উদাসীনতা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। কিন্তু কেন? চলুন জেনে নিই।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর দিল্লিতে আয়োজিত হবে আসন্ন সুব্রত কাপ। এবং এই টুর্নামেন্টে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য শেষ তারিখ ছিল ৭ আগস্ট। অথচ, বাংলার তরফ থেকে কোনও দলের নামই সেই সময়ে নথিভুক্ত করা হয়নি। আর সেই কারণে বাংলার কোনও স্কুলকে ছাড়া ২৭টি রাজ্যের স্কুলের নাম ঘোষণা করা হয়।
এবং সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর টনক নড়ে রাজ্যের স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের। স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের আওতায় বাংলায় সুব্রত কাপের প্রাথমিক পর্ব আয়োজন করা হয়, যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে স্কুলগুলির মধ্যে যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলিয়ে সুব্রত কাপের মূল পর্বের জন্য দল পাঠানো হয়।
অথচ এবারে তা হলই না, বরং তড়িঘড়ি সুব্রত কাপে বাংলার দল পাঠানোর জন্য কার্যত বাঁকা পথে বেছে নেওয়া হল ছেলে ও মেয়েদের বয়সভিত্তিক তিনটে টিম। কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? প্রশ্ন উঠছেই।
আসলে, রাজ্যে স্কুলের খেলার জন্য গঠিত হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, এবং জেলায় গঠিত হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস। এবং এই দুই কাউন্সিলের সাথে স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন আয়োজন করত সুব্রত কাপের প্রাথমিক পর্ব। তবে এই দুই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, এবং এই দুই কমিটির পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। যার ফলে এবারের সুব্রত কাপ আয়োজন নিয়ে উদাসীনতা স্পষ্ট।
সব মিলিয়ে, পরিস্থিতিটা বেশ জটিল হয়ে উঠেছে এই বিষয়ে। যে তিনটি স্কুলকে কার্যত চুপিসাড়ে বাছা হল, তাদের ছাড়া বাকি স্কুলগুলিকে কোনও সুযোগই দেওয়া হল। এছাড়া বাংলায় যেখানে ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে, সেখানে কেন সুব্রত কাপের মত গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে উদাসীনতা দেখাল বাংলার কমিটি। প্রশ্ন উঠছেই।